1. সপ্তক কার্যক্রম

দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সপ্তক সাহিত্য চক্র পালন করলো বিজয়ের পঞ্চাশ বছর

১৮ ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার সপ্তক সাহিত্য চক্র পালন করলো বিজয়ের ৫০ বছর। স্থানীয় সৈয়দ আতর আলী গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গন ও মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করেন সপ্তক সাহিত্য চক্র’র উপদেষ্টা ও মাগুরা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক এডভোকেট সৈয়দ শরিফুল ইসলাম। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠির পরিবেশিত জাতীয় সঙ্গীতের মূর্ছনায় পতাকা উত্তোলনে আরও অংশ গ্রহন করেন কবি গাজী লতিফ, কবি হেনরী স্বপন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি পরেশ কান্তি সাহা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব হাসনু।

পতাকা উত্তোলন শেষে পায়রা অবমুক্ত করেন কবি পরেশ কান্তি সাহা এবং কবি গাজী লতিফ। এ্যাডভোকেট সৈয়দ শরিফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে আগত সকল কবি, সাহিত্যিক, সংগঠক ও কলাকুশলীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সপ্তক সাহিত্য চক্র’র সাধারণ সম্পাদক শিকদার ওয়ালিউজ্জামানের স্বাগত বক্তব্য শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, মাগুরা শাখার সভাপতি মমতাজ বেগম, গাঙচিল সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ, মাগুরা শাখার সভাপতি পরেশ কান্তি সাহা, মাগুরা সাহিত্যিক কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি ও সাংবাদিক এম এ হাকিম, শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ড. মুসাফির নজরুল, কলমের সৈনিক সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও কবি নাট্যকর সালাউদ্দিন আহমেদ মিল্টন, স্পৃহা সাহিত্য পরিষদের সহ সভাপতি কবি শামসুন্নাহার লাকী ও নবমতি সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শাহজাহান মিয়া। এ পর্বের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কবি বিকাশ মজুমদার।

দুপুর ১২.০০ টায় অনুষ্ঠিত হয় ‘বিজয়োত্তর বাংলাদেশের ছোটকাগজের সংকট ও সম্ভাবনা’ বিষয়ের উপর আড্ডা। আড্ডায় অংশ নেন দূর্বা সম্পাদক গাজী লতিফ, জীবনানন্দ সম্পাদক হেনরী স্বপন, মগ্নপাঠ সম্পাদক আহমেদ শিপলু, মাদুলী সম্পাদক অরবিন্দ চক্রবর্তী, কবি ফরিদ ছিফাতুল্লাহ ও সপ্তক সম্পাদক শিকদার ওয়ালিউজ্জামান। এ পর্বের সভাপতিত্ব করেন কবি হাসান ফিরোজ।

দুপুর দুইটায় কবি সারোক শিকদার ও প্রমা পূজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ। দুই পর্বে বিভক্ত কবিতাপাঠ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি অনিল দে মণি ও গবেষক বিপুল কুমার রায়। কবিতা পাঠ করেন কবি এ জাহিদ, নওয়াব আলী খান, রোকেয়া খাতুন, বিজন কৃষ্ণ বিশ্বাস, বলরাম বসাক, বিশ্বাস অমৃত রায়, কৃষ্ণপদ রায়, পার্থ সাহা, রফিক হানজালা, জিল্লুর রহমান খান, সাধন কর্মকার, মতিউর রহমান, মুরাদ হোসেন, সালাউদ্দিন মিল্টন, মাহবুব হাসনু, বিপুল কুমার রায়, কমল হাসান প্রমুখ।

তরুণ কবিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আরেফিন অনু, আব্দুস সেলিম, সারোক শিকদার, প্রমা পূজা, আতিকুর রহমান হিমু, মাহাথির মোহাম্মদ, রাফাতুল আরাফাত, শাব্দিক সাব্বির প্রমুখ।

বিকেল ৩.৩০ টায় অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের কবিতায় মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক বিষয়ের উপর আড্ডাকেন্দ্রিক আলোচনা। এ পর্বে সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক মমতাজ বেগম। আলোচনায় অংশ নেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক বিপ্লব রায়, কবি ও প্রাবন্ধিক কুমার দীপ, কথাসাহিত্যিক সিদ্দিক বকর, মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান এবং আমিনুর রহমান ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক কবি ওসমান আলী।

সমাপনী পর্বে উড়াল পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন করেন মাগুরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু। অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত ছিলেন মাগুরা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাসির বাবলু ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম আব্দুল ফাত্তাহ। এ পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি বিকাশ মজুমদার।

সবশেষে রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। রচনা প্রতিযোগিতার ক বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার লাভ করে যথাক্রমে দিলশাদ ইসলাম দৃষ্টি, মোসাদ্দিকা বৃষ্টি ও সুদীপ্ত মণ্ডল। খ বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে মোছাঃ আন্না খাতুন, নাজমুন নেসা জেবা ও মোছাঃ বন্নী।

সংগঠনের উপদেষ্টা সাবেক সাংসদ কামরুল লায়লা জলি বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ও স্থানীয় সকল কবি-সাহিত্যিক ও সংগঠকদেরকে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে আরও উপস্থিত ছিল লোক সংস্কৃতি কেন্দ্র, সুরসপ্তক সংগীত নিকেতন, লালন একাডেমি, কণ্ঠবীথি ও পরিবর্তনে আমরাই। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ ও সংগঠকদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মানিত করা হয়। সার্বিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি সুদেব চক্রবর্তী এবং পরিচালনা করেন কবি কমল হাসান, তরুণ বৈদ্য, কবি নিষাদ নয়ন, অনিক মজুমদার, গল্পকার আসমা আক্তার, মিঠুন নন্দী ও কবি আব্দুস সেলিম।