গঠনতন্ত্র

গঠনতন্ত্র

গঠনতন্ত্র

সপ্তক সাহিত্য চক্র
SOPTOK SAHITYA CHAKRA

গঠনতন্ত্র

প্রস্তাবনা :

এই গঠনতন্ত্রটি স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (রেজিস্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৬১ সনের ৪৬ নং- এ অর্পিত ক্ষমতা বলে প্রণয়ন করা হলো।

ধারা- ০১ : সংগঠনের নাম : সপ্তক সাহিত্য চক্র, সংক্ষেপে সপ্তক
ইংরেজীতে : SOPTOK SAHITYA CHAKRA

ধারা- ০২ : সংগঠনের বৈশিষ্ট্য ঃ বাঙালীর ইতিহাস-ঐতিহ্য, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উৎসারিত সাহিত্য চর্চা এবং সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা।

ধারা- ০৩ : সংগঠনের কার্যালয় ঃ মাগুরা পৌর এলাকা।

ধারা- ০৪ : সংগঠনের ঠিকানা ঃ ১৩৫, কলেজপাড়া, মাগুরা (বর্তমান)।

ধারা- ০৫ : সংগঠনের প্রতিষ্ঠার তারিখ ঃ ০১-০২-২০১১ খ্রি.

ধারা- ০৬ : সংগঠনের কার্য এলাকাÑ মাগুরা জেলা (নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে কার্যএলাকা বৃদ্ধি করা যাবে)।

ধারা- ০৭ : সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য –
০১। একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সাহিত্যসেবামূলক সমাজকল্যাণ সংস্থা হিসেবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এলাকার উন্নয়ন ও জনগনের সেবা করা।
০২। সাহিত্য ও সংস্কৃতিমূলক সকল কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।
০৩। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রিদের মধ্যে আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ও সাহিত্যানুরাগী ব্যক্তিগণকে সাহিত্যচর্চায় উদ্বুদ্ধ করণের মাধ্যমে সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।
০৪। ভাষাচর্চা, শিক্ষা ও গবেষণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।
০৫। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রিদের মাঝে উপস্থিত বক্তৃতা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।
০৬। দেশবরেণ্য কবি, সাহিত্যিক ও গবেষকদের জীবনীর উপর আলোচনা অনুষ্ঠান, সেমিনার, কর্মশালা ও র‌্যালীর আয়োজনমূলক কর্মকাÐ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।
০৭। নিরক্ষতা দূরীকরণের জন্য কর্মসূচী গ্রহণ এবং বয়স্ক ও নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন করা।
০৮। যৌতুক সমাজের একটি ঘৃণিত ব্যাধি। সমাজে যৌতুক আদান-প্রদান বন্ধে কর্মসূচী গ্রহণ করা।
০৯। মানবসম্পদ উন্নয়নে ও স্বনির্ভরতা অর্জনে এবং স্থানীয় সম্পদ আহরণে আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করা এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
১০। অসচ্ছল সাহিত্যিকদের সাহায্য প্রদান করা ও তাদেরকে কর্মক্ষম করে তোলা।
১১। দুঃস্থ পরিবারের মেধাবী সন্তানদের কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা লাভে উৎসাহিত ও সহায়তা প্রদান করা।
১২। পরিবেশ উন্নয়নে বনায়ন কর্মসূচী গ্রহণ করা।
১৩। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা।
১৪। সদস্যদের আত্মনির্ভরশীল হতে সহায়তা প্রদান করা।
১৫। বাংলা ভাষার যথার্থ ব্যবহার করা ও বাঙালী চেতনায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা।
১৬। ভাষা, সাহিত্য ও লোকজ ঐতিহ্য বিষয়ে পত্র-পত্রিকা প্রকাশ করা।
১৭। সংগঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ব্যয় নির্বাহের জন্য সংগঠনের সদস্যগণের চাঁদা দান-অনুদান, সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান (স্থানীয় ও জাতীয়), সম্পদশালী ব্যক্তি ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তি-সংস্থার নিকট থেকে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ধারা- ০৮ : সদস্যপদ প্রাপ্তির যোগ্যতা : সংগঠনের কার্যএলাকায় বসবাসকারী সাহিত্যানুরাগী, বাঙালীসংস্কৃতি ও দেশপ্রেমী ১৮ বছর বা তদূর্ধ্বের যে কোন ব্যক্তি সংগঠনের সদস্য পদ লাভ করতে পারবে। প্রাথমিক সদস্যপদে ভর্তি ফিস ১০০.০০ (এক শত) টাকা এবং মাসিক সদস্য চাঁদা জনপ্রতি ৩০.০০ (ত্রিশ) টাকা হারে বার্ষিক সদস্য চাঁদা ৩৬০.০০ (তিন শত ষাট) টাকা। আজীবন সদস্য চাঁদা এককালীন ৫০০০.০০ (পাঁচ হাজার) টাকা এবং দাতা সদস্য চাঁদা এককালীন ১০,০০০.০০ (দশ হাজার) টাকা। সাধারণ সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কিন্তু আজীবন ও দাতা সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলেও নির্বাচনে পদপ্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

ধারা- ০৯ : সদস্যপদ বাতিল ও স্থগিতকরণ :
০১) কোন সদস্যের আকস্মিক মৃত্যু হলে।
০২) কোন সদস্যের এ সংগঠনে চাকুরী হলে।
০৩) কোন সদস্য আদালত কর্তৃক দÐপ্রাপ্ত, দেউলিয়া ও পাগল ঘোষিত হলে।
০৪) কোন সদস্য পর পর ৪ মাস নির্ধারিত মাসিক চাঁদা প্রদানে ব্যর্থ হলে এবং পরপর ৪ মাস কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অনুপস্থিত থাকলে।
০৫) কোন সদস্য সংগঠনের আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে অন্তরায় হলে এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে।

ধারা- ১০ : সদস্যপদ পুনঃলাভ –
ধারা নং ০৭ এর ১, ২, ৩ ও ৫ ব্যতীত ক্রমিক নং ৪ এ বর্ণিত কারণে সদস্যপদ বাতিল হলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে চাঁদা পরিশোধ সাপেক্ষে/যথোপযুক্ত কারণ দর্শিয়ে সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে সদস্যপদ লাভ করা যাবে। সে ক্ষেত্রে সংগঠনের সভাপতি বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র গৃহীত হলে এবং সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হলে সদস্য পদ পুনরায় লাভ করা যাবে। তবে সকল ক্ষেত্রে সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।

ধারা- ১১ : সংগঠনের কাঠামো – এ প্রতিষ্ঠানের ২টি পরিষদ থাকবে।
ক) সাধারণ পরিষদ ও খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ
ক) সাধারণ পরিষদ : সংগঠনের সকল সদস্যের সমন্বয়ে এ পরিষদ গঠিত হবে। দ্বি-বার্ষিক ভিত্তিতে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে সাধারণ পরিষদের সম্মানিত সদস্যগণ ভোটাধিকার/মনোনয়ন করবে। এ পরিষদ সংগঠনের নীতি নির্ধারণের সর্বোচ্চ পরিষদ। এ পরিষদ বার্ষিক বাজেট অনুমোদন, আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুমোদন, কার্যনির্বাহী পরিষদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন, গঠনতন্ত্রের সংশোধনী ও কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের ব্যবস্থা করবে।
খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ : সংগঠনের কার্যাবলী সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য এ পরিষদের কর্মকর্তাগণ নির্বাচিত/ মনোনীত হয়ে দায়িত্ব পালন করবে। সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনির্বাচিত কোন ব্যক্তি এ পরিষদের কোন দায়-দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে সর্বনিম্ন ০৭ (সাত) সর্বোচ্চ ১১ (এগারো) জন নিয়ে।
কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন হবে নিম্বরূপ-
ক্রমিক নং সংস্থার পদবী পদ সংখ্যা
১। সভাপতি ০১ জন
২। সহ-সভাপতি ০১ জন
৩। সাধারণ সম্পাদক

শেয়ার করুন

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on email

সর্বশেষ আপডেট